আইপিএলের প্লে অফে জায়গা পাকা করতে রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে জেতার জন্য ১৭৯ রান করতে হবে লখনউ সুপার জায়ান্টসকে। ব্র্যাবোর্ন স্টেডিয়ামে
আজ টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৭৮ রান তুলেছে রাজস্থান রয়্যালস। ২৯ বলে সর্বাধিক ৪১ রান করেন যশস্বী জয়সওয়াল। রবি বিষ্ণোই নেন ২ উইকেট।
আজ জস বাটলার ব্যর্থ হলেও যশস্বী জয়সওয়াল ও সঞ্জু স্যামসনের ঝোড়়ো ব্যাটিংয়ের সুবাদে পাওয়ারপ্লেতে ৬ ওভারে রাজস্থান রয়্যালসের স্কোর ছিল ১ উইকেটে ৫১। যদিও ৭ থেকে ১৫ ওভারের মধ্যে পড়ে আরও তিনটি উইকেট, রান ওঠে ৭৯।
২.২ ওভারে দলের ১১ রানের মাথায় আবেশ খানের বলে বোল্ড হন জস বাটলার। তিনি ৬ বলে ২ রান করেন। পরিস্থিতি যেদিকে এগোচ্ছে তাতে আইপিএলে কোনও মরশুমে সর্বাধিক রানের
বিরাট কোহলির রেকর্ডটি অক্ষতই থাকতে চলেছে। ৮.৫ ওভারে ৭৫ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় রাজস্থান রয়্যালস। অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসনকে ফেরান জেসন হোল্ডার। ৬টি চারের সাহায্যে ২৪ বলে ৩২ রান করেন রয়্যালস অধিনায়ক।
১১.২ ওভারে দলগত ১০১ রানের মাথায় সাজঘরে ফেরেন যশস্বী জয়সওয়াল। ৬টি চার ও একটি ছয়ের সাহায্যে ২৯ বলে ৪১ রান করে তিনি আয়ুষ বাদোনির বলে কট অ্যান্ড বোল্ড হন। ১৮ বলে ৩৯ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে দেবদত্ত পাড়িক্কল রবি বিষ্ণোইয়ের শিকার।
১৩.৪ ওভারে ১২২ রানে আউট হন তিনি। ১৭.১ ওভারে রিয়ান পরাগকেও ফেরান বিষ্ণোই। ১টি ছয়ের সাহায্যে পরাগ করেন ১৬ বলে ১৯। এই ওভারেই রবিচন্দ্রন অশ্বিনের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হন জিমি নিশাম।
প্রথমে প্যাভিলিয়নের দিকে অশ্বিন হাঁটা ধরলেও রিপ্লেতে দেখা যায় জিমি নিশাম অশ্বিনকে অতিক্রম করেননি। ফলে তিনি ১২ বলে ১৪ রানে আউট হন।
১৯তম ওভারে মহসীন খান ১৪ রান দেন। যার মধ্যে প্রথম দুই বলেই রয়েছে ট্রেন্ট বোল্টের মারা জোড়া বাউন্ডারি। আবেশ খানের শেষ ওভারে আসে ১০।
১৬ থেকে ২০ ওভারের মধ্যে রাজস্থান রয়্যালস ২টি উইকেট হারালেও ৪৮ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়। অশ্বিন ৭ বলে ১০ ও বোল্ট ৯ বলে ১৭ রানে অপরাজিত থাকেন।
লখনউ সুপার জায়ান্টস অধিনায়ক লোকেশ রাহুল এদিন আট বোলার ব্যবহার করেছেন। সফলতম রবি বিষ্ণেই। চার ওভারে ৩১ রানের বিনিময়ে তিনি ২টি উইকেট নেন।
আবেশ খান ৩ ওভারে ২০ রান দিয়ে, জেসন হোল্ডার ২ ওভারে ১২ রান দিয়ে এবং আয়ুষ বাদোনি ১ ওভারে ৫ রান খরচ করে একটি করে উইকেট পেয়েছেন। মহসীন খান ৪ ওভারে ৪৩ ও দুষ্মন্ত চামিরা তিন ওভারে ৩৫ রান দিয়ে কোনও উইকেট পাননি।