সাকিব আল হাসান, বাংলাদেশ ক্রিকেটের বর্ণিল এক চরিত্র। মাঠ এবং মাঠের বাইরের সব জায়গাতেই তার বিচরণ রাজার মতো। ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই ২২ গজে বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি জয়ে আছে তার অবদান।







মাঠের বাইরের আলোচনাতেও শীর্ষে সাকিব। হোক সেটা ইতিবাচক কিংবা নেতিবাচক। সাকিব আল হাসান, অভিষেক ম্যাচেই জানান দিয়েছিলেন তিনি বিশেষ কিছু। এরপর যত সময় গিয়েছে, তিনি নিজেকে নিয়ে গেছেন অনন্য এক উচ্চতায়।
বাংলাদেশ ক্রিকেটের রাজপুত্র আজ যেখানে আসীন, সেখানে যাওয়ার স্বপ্ন দেখে এখন কোটি তরুণ। সাকিবকে সর্বকালের সেরা বাংলাদেশি ক্রিকেটার ভাবা হয়। তাঁর রেকর্ড, অর্জনের কারণে এর সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করবেন খুব কম মানুষই।
দুর্দান্ত ব্যাটিং, বুদ্ধিদীপ্ত বোলিং, সঙ্গে অসাধারণ ফিল্ডিং সব মিলিয়ে আক্ষরিক অর্থেই সাকিব অলরাউন্ডার। শুধু বাংলাদেশ নয়, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও এ সময়ের সেরা অলরাউন্ডারদের একজন সাকিব।







সাকিব আল হাসান – প্রথম আলোক্রিকেট ইতিহাসেই টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি তিন ধরনের ক্রিকেটে একই সময়ে এক নম্বরে থাকা একমাত্র ক্রিকেটার তিনি। ২০১৫ সালে সাকিব এই কৃতিত্ব প্রথম করে দেখান।
সাকিব নিজে নিজের এই কৃতিত্ব আবার করে দেখিয়েছেন, যা আর কোনো দেশের ক্রিকেটার পারেননি। গতকাল একমাত্র বাংলাদেশি হিসেবে আরেকটি কৃতিত্বে সাকিব অনন্য হয়ে জায়গা করে নিয়েছেন।
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ টি-টোয়েন্টিতে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের বিপক্ষে দুই উইকেট নিয়ে টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারের সর্বকালীন সেরার শীর্ষ পাঁচে ঢুকে গেছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।
ডিপিএলে এদিন দুই উইকেট নিয়ে সাকিবের উইকেট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৬৯ টি। আন্তর্জাতিক, ঘরোয়া ও ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেট মিলিয়ে মোট ৩২৪টি ম্যাচে এই উইকেট শিকার করেছেন সাকিব। এই তালিকার শীর্ষে আছেন ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার ডিজে ব্রাভো।







ব্রাভো সবমিলিয়ে ৪৭৮ ম্যাচে ৫১৮ টি উইকেট নিয়েছেন। দ্বিতীয় স্থানে ৩৯৩টি উইকেট নিয়ে আছেন আরেক ক্যারিবিয়ান অলরাউন্ডার সুনীল নারিন।
তৃতীয় স্থানে সমান ৩৯৩ উইকেট নিয়ে আছেন লঙ্কান পেশার লাসিথা মালিঙ্গা। ৪র্থ স্থানে ৩৮৬ উইকেট নিয়ে আছেন দক্ষিন আফ্রিকার ইমরান তাহির। পঞ্চম স্থানে ৩২৪ ম্যাচে ৩৬৯ উইকেট শিকার করেন করেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।






