চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় দিনের শুরুতেও সাবলীলভাবে খেলছেন শ্রীলঙ্কানরা। আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটার অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস এবং দীনেশ চান্দিমাল সহজাতভাবেই ব্যাট চালাচ্ছেন।
দিনের শুরুতে শরিফুল ইসলাম, সাকিব আল হাসানরা বোলিং আক্রমণে আসেন। কিন্তু দেড়শ’র দ্বারপ্রান্তে থাকা অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস এবং হাফ সেঞ্চুরির আশায় থাকা দীনেশ চান্দিমাল বেশ দেখেশুনেই খেলছেন তাদের।
স্বাচ্ছন্দ্যের সঙ্গে স্কোরবোর্ডে রানও বাড়িয়ে চলেছেন তারা। যদিও চতুর্থ ওভারেই ম্যাথুসকে ফেরানোর সুযোগ ছিল বাংলাদেশের সামনে। কিছু না বুঝেই সুযোগটি হাতছাড়া করে তারা।
খালেদ আহমেদের লেংথ বলে আলতো করে খোঁচা দেন ম্যাথুস। তার ব্যাট ছুঁয়ে বল চলে যায় উইকেটরক্ষক লিটন দাসের হাতে। যদিও কেউ না বোঝায় আউট দেয়ার আবেদন করেননি।
খালেদ-লিটন আর অধিনায়ক মুমিনুল হক ভেবেছিলেন, অল্পের জন্য ব্যাটে বল লাগেনি ম্যাথুসের! ম্যাচের প্রথম দিন ৬৯ রানে থাকা অবস্থায় স্লিপে মাহমুদুল হাসান জয়কে ক্যাচ দিয়ে বেঁচে গিয়েছিলেন ম্যাথুস।
তবে ১১৪ তম ওভারে জোড়া উইকেটের পতন ঘটিয়ে খেলার মোর ঘুরিয়ে দেন নাইম হাসান। ওভারের প্রথম বলে দীনেশ চান্দিমালকে এল বি ডবলিউ করে সাজ ঘরে ফেরান, একই ওভারের পঞ্চম বলে নতুন ব্যাটার নিরোশান দিকওয়েল্লার উইকেট ভেঙ্গে দেন নাইম হাসান। ২০ ওভারে ৮৭ রান দিয়ে ২ ম্যাডেন নিয়ে ৪ উইকেট তুলে নিয়েছেন নাইম হাসান।
লাঞ্চ বিরতির ঠিক আগ মুহূর্তে বাংলাদেশকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনেন নাঈম হাসান। ১১৪তম ওভারে জোড়া উইকেট শিকার করেন তিনি।
বিরতির পর এবার সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখলেন সাকিব আল হাসান। ১১৭তম ওভার করতে এসে টানা দুই বলে জোড়া শিকার করেছেন অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডার।
দ্বিতীয় বলেই ১ রান করা রামেশ মেন্ডিসকে সরাসরি বোল্ড করেন সাকিব। এর পরের বলেই ক্রিজে নামা লাসিথ এমবুলডেনিয়াকে দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন তিনি। এর মধ্য দিয়ে শ্রীলঙ্কার ৮ উইকেটের পতন হয়েছে। এই প্রতিবেদন লেখার সময় চট্টগ্রাম টেস্টের ফলাফল ছিল-
সংক্ষিপ্ত স্কোর-
শ্রীলঙ্কা প্রথম ইনিংস- ৩৫৭/৮ (১৩৪ ওভার)
(ম্যাথুস ১৬৯*,ফার্নান্দো ৮*)