বাংলাদেশ দলের পক্ষে সাদা পোশাকের প্রথম সেঞ্চুরিয়ান আমিনুল ইসলাম বুলবুল প্রকাশ্যে জানিয়েছেন, বাংলাদেশ দলে ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ দলের টানা ব্যর্থতা নিয়ে মন্তব্য করেছেন, এটাই নাকি বাংলাদেশ দলের পরিণতি হওয়ার কথা ছিল!







বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেট ব্যবস্থা নিয়ে অভিযোগের শেষ নেই। সাবেক ক্রিকেটার থেকে শুরু করে বর্তমান ক্রিকেটাররাও বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ভাবে নিজেদের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন, অভিযোগ জানিয়েছেন। যার বড় পরিণতি ছিল ২০১৯ সালের অক্টোবরে ক্রিকেটারদের আন্দোলন। তারপরেও অবস্থার উন্নতি খুব একটা হয়নি। অন্তত চোখে পড়ার মতো উন্নতি তো হয়নি।
বুলবুলও প্রকাশ্যেই ঘরোয়া ক্রিকেট ব্যবস্থাকে ধুয়ে দিলেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তিনি সমালোচনা করে বলেন, ঘরোয়া ক্রিকেটকে অপরাধের আখড়ায় পরিণত করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষের সততার অভাব সেটাও সরাসরি বলেছেন।







বুলবুলের ভাষ্যমতে, ‘এটাই হওয়ার কথা ছিল। মূল কারণ সততার অভাব। ঘরোয়া ক্রিকেটে গত কয়েক বছর যেভাবে অপরাধে পরিণত করা হয়েছে তাতে শুধু অপেক্ষায় ছিলাম ধ্বসটা কখন হবে।’
ঘরোয়া ক্রিকেটের ওই অপরাধবোধ ধ্বস নামিয়েছে জাতীয় দলেও। তাছাড়া জাতীয় দলের ভেতরেই দল সৃষ্টি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বুলবুল।
তিনি এটাও সরাসরি বলেছেন যে, দলের জ্যেষ্ঠ ৫ ক্রিকেটার ও তরুণ ক্রিকেটাররা নাকি দুই দলের বিভক্ত হয়ে গিয়েছেন। এমনকি ব্যক্তি ক্রিকেটার হিসেবেও তাদের একের অপরের সাথে তিক্ততা আছে। একজন ক্রিকেটারের কথায় আরেকজনকে হীন করা স্বাভাবিক ব্যাপার হয়ে উঠেছে।







বুলবুলের ভাষায়, ‘দলের ভেতরে দল। পাঁচ পান্ডব বনাম বাকি খেলোয়াড়রা। সবার কথাবার্তায় দলের বাকি খেলোয়াড়দের দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক মনে হয়। দল ছেড়ে এখন ব্যক্তি ক্রিকেটারদের পেছনে সবাই। বাংলাদেশ দলটাকে খুঁজে পাই না।’
বাংলাদেশ ক্রিকেট ব্যবস্থার প্রতি বুলবুলের অসন্তোষ নতুন কিছু নয়। তাই দলের মধ্যেও এখন নীতিহীনতা দেখে সম্প্রতিতে বাঁধা সেই বাংলাদেশ দলকে মিস করেন তিনি।






